• Convallis consequat

    Lorem ipsum integer tincidunt quisque tristique sollicitudin eros sapien, ultrices primis volutpat tempor curabitur duis mattis dapibus, felis amet faucibus...

  • Augue nullam mauris

    Lorem ipsum integer tincidunt quisque tristique sollicitudin eros sapien, ultrices primis volutpat tempor curabitur duis mattis dapibus, felis amet faucibus...

  • Donec conubia volutpat

    Lorem ipsum integer tincidunt quisque tristique sollicitudin eros sapien, ultrices primis volutpat tempor curabitur duis mattis dapibus, felis amet faucibus...

  • Primis volutpat tempor

    Lorem ipsum integer tincidunt quisque tristique sollicitudin eros sapien, ultrices primis volutpat tempor curabitur duis mattis dapibus, felis amet faucibus...

Tourism-spot-in-Bangladesh

Tourism-spot-in-Bangladesh

ঘুরে আসুন নিঝুম দ্বীপ





দেশের দক্ষিনাঞ্চলীয় জেলা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দক্ষিন-পশ্চিমে অবস্থিত নৈসর্গিক শোভা মন্ডিত দ্বীপাঞ্চল নিঝুম দ্বীপ। রহস্যময়ী এই নিঝুম দ্বীপ নিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়, বহির্বিশ্বের মানুষেরও ব্যাপক কৌতুহল ও আগ্রহ রয়েছে।
এর অন্যতম কারন মনোরম পরিবেশ এবং এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত প্রত্যক্ষ করার বিরল সুযোগ। ফলে এই দ্বীপটিকে নিয়ে জানার আকাংখা কৌতুহল প্রিয় ও ভ্রমন পিয়াসী মানুষের বেড়েই চলেছে দিনকে দিন। মূলত কমলার চর, চর ওসমান, চর মুয়িদ ও বল্লার চর- এই চারটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত নিঝুম দ্বীপ। প্রায় ১৪ হাজার একর বিস্তৃত দ্বীপটি ১৯৫০ সালের দিকে জেগে উঠে বলে জানা গেছে। ১৯৭০ সালের আগে এখানে জনবসতি প্রায় ছিলই না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে হাতিয়ার ততকালীন সাংসদ (প্রয়াত) ও বন প্রতিমন্ত্রী আমিরুল ইসলাম কালাম এখানে বেড়াতে এসে দ্বীপটির শান্ত স্নিগ্ধ রুপে মুগ্ধ হয়ে এর নামকরন করেন নিঝুম দ্বীপ। পরে হাতিয়া, শাহবাজপুর ও রামগতির নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ দ্বীপটিতে এসে আশ্রয় নেওয়া শুরু করে। পাশাপাশি ১৯৭৩-৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশ বনবিভাগ এখানে সুন্দরবনের আদলে উপকূলীয় বনাঞ্চল গড়ে তুলতে থাকে। বর্তমানে এই বনাঞ্চলে কেওড়া, বাইন, গেওয়া, কামড়া, পুইন্যাল, নোনা ঝাউ ইত্যাদি গাছ রয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে নিঝুম দ্বীপ সফরে এসে দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান ঘোষনা করেন। দীর্ঘ একযুগ পেরিয়ে গেলেও এখানে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। বলা চলে একরকম অবহেলিতই রয়ে গেছে নিঝুম দ্বীপ। আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর উন্নয়নবঞ্চিত নিঝুম দ্বীপের প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দা আবার নতুন স্বপ্নের বীজ বুনছেন। সরেজমিন পরিদর্শনকালে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নিঝুম দ্বীপের উন্নয়ন সাধিত হলে এখানকার জনগনের যেমন ভাগ্য পরিবর্তন হবে ঠিক তেমনি পর্যটন খাত থেকে সরকারও আয় করতে পারবে কাড়ি কাড়ি অর্থ। পাশাপাশি জীব বৈচিত্র রক্ষা পাবে, তৈরী হবে পরিবেশের ভারসাম্য।

নিঝুমদ্বীপের গহীন অরন্যে প্রায় ৭প্রজাতীর স্তন্যপায়ী প্রানী, ৩৫প্রজাতীর পাখি ও ১৬প্রজাতীর সাপ রয়েছে। আর সর্বত্র রয়েছে দৃষ্টিনন্দন চিত্রল হরিণের অবাধ পদচারনা। জানা গেছে ১৯৭৮ সালে এখানে ৪জোড়া চিত্রল হরিণ অবমুক্ত করা হয়েছিলো। গত সিডরে বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও এ দ্বীপে বর্তমানে প্রায় ৩০হাজার হরিণ রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষা এই দ্বীপে চিত্রল হরিণের অবাধ ছুটোছুটি সত্যিই স্বপ্নীল এক দৃশ্য- যা প্রতিনিয়ত হাতছানি দিয়ে ডাকে দেশী বিদেশী পর্যটকদের। ছবির মতো সুন্দর এই দ্বীপের দক্ষিনে বৃত্তাকারে রয়েছে প্রায় ১২কিলোমিটার জুড়ে বিশাল সি-বীচ্। যেখানে বসে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের স্বর্গীয় দৃশ্য দেখা যায়। এতো কিছুর পরও শুধুমাত্র অবকাঠামোর অভাবে পর্যটকরা ইচ্ছে থাকা স্বত্ত্বেও এখানে ব্যাপক হারে আসতে আগ্রহী হননা। মূল ভূখন্ড থেকে দ্বীপে যাতায়াত ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ ও অপ্রতুল। রাত্রি যাপনে তেমন একটা সু-ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান ইত্যাদি মৌলিক অধিকার গুলো থেকে স্থানীয়রা প্রায় বঞ্চিত। সরকারের একটু সুদৃষ্টি নিঝুম দ্বীপকে দেশের সম্ভাবনাময় একটা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা।

 👀  যেভাবে যাবেনঃ

ঢাকা থেকে দুইভাবে নিঝুম দ্বীপ আসা যায়।

সড়ক পথের রুটঃ ঢাকা-সোনাপুর(নোয়াখালী)-চেয়ারম্যান ঘাট-হাতিয়ার নলচিরা ঘাট(সী-ট্রাক বা ট্রলারে)-হাতিয়ার অপর প্রান্ত জাহাজমারা বাজার-নিঝুম দ্বীপ যাবার ঘাট(খেয়া পারাপার)-নিঝুম দ্বীপ বন্দরটিলা ঘাট-নামার বাজার।

ঢাকার সায়দাবাদ এবং কমলাপুর থেকে প্রতিদিন অসংখ্য বাস নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সময় লাগে ৫-৬ ঘণ্টা। ভাড়া বাস ভেদে ২৫০- ৩৫০ টাকা। সোনাপুর নেমে আবার বাসে চেয়ারম্যান ঘাট। সময় লাগবে ২ ঘণ্টার মত। ভাড়া ৬০-৮০ টাকা। চেয়াম্যান ঘাট থেকে প্রতিদিন দুপুর ২ টার দিকে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় সি ট্রাক। সেগুলোতে চড়ে চলে যাবেন হাতিয়া। ভাড়া নেবে চেয়ারে ১৫০ টাকা এবং ডেকে ১০০ টাকা। সময় লাগবে ১.৩০ মিনিট। আপনাকে হাতিয়ার যে ঘাটে নামিয়ে দেবে সে ঘাটের নাম ‘নলচিরা ঘাট’। নলচিরা ঘাট থেকে ‘চান্দের গাড়িতে’ যাবেন হাতিয়ার অপর প্রান্ত জাহাজমারা বাজার। সময় লাগবে ৩ ঘণ্টার মত। ভাড়া নেবে ৮০-১০০ টাকা। জাহাজমারা বাজারে রাতে থাকবেন। এখানে থাকার জন্য তেমন ভালো হোটেল নেই। যেগুলো আছে সেখানে কষ্ট করে থাকতে হবে। ভাড়া নেবে ১০০-১২০ টাকা জনপ্রতি। সকালে নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার জন্য আপনাকে ঘাটে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে মোটরসাইকেল ছাড়া আর কোন যানবাহন নেই। একটি মোটরসাইকেলে তিনজন পর্যন্ত উঠা যায়। ভাড়া জন প্রতি ৬০-৮০ টাকা। পূর্বেই দরদাম করে নেবেন। ঘাটে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৩০ মিনিটের মত। ঘাটে দাঁড়ালেই অপর পাশে দেখতে পাবেন স্বপ্নের নিঝুম দ্বিপের বনাঞ্চল। সকাল ৯ টায় নিঝুম দ্বীপ যাবার নৌকা ছাড়ে। ভাড়া ২০-৩০ টাকা। সময় লাগবে ৩০ মিনিট। নদী পার হওয়ার পথে অসংখ্য পাখি দেখতে পাবেন। নিঝুম দ্বীপে আপনাকে নামিয়ে দেবে যে ঘাটে তার নাম ‘বন্দরটিলা ঘাট’ নেমে মোটরসাইকেলে সরাসরি চলে যাবেন ‘নামার বাজার’। ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা। (যাতায়াত এবং ভাড়া সংক্রান্ত তথ্যগুলো মার্চ-২০১৩ সালের)

 🐬  নৌ পথেঃ ঢাকা-তমরুদ্দি(হাতিয়া)-হাতিয়া বন্দরটিলা-নিঝুম দ্বীপ বন্দরটিলা-নামার বাজার।

ঢাকা থেকে নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার সহজ রুট সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে হাতিয়ারতমরুদ্দি। এ পথে এমভি পানামা এবং এমভি টিপু-৫ নামে দুটি লঞ্চ নিয়মিত চলাচলকরে। 📞 যোগাযোগের ফোন-০১৯২৪০০৪৬০৮ এবং ০১৭১১৩৪৮৮১৩।

ভাড়া ডাবলকেবিন ১২০০ আর সিঙ্গেল ৬৫০ টাকা। ডেকে জনপ্রতি ২০০ টাকা খরচ হবে। ঢাকা থেকে ছাড়ে বিকেলে আর তমরুদ্দি থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ে দুপুর সাড়েবারোটায়। আর তমরুদ্দি থেকে স্কুটারে বন্দরটিলা ঘাট খরচ হবে ৪৫০-৫৫০ টাকা।স্কুটার ছাড়া বাস এবং রিকসা করেও বন্দরটিলা ঘাটে যাওয়া যায়। বাস ভাড়া ৩০-৪০ টাকা, রিকসা ভাড়া ৫০-৬০ টাকা।সেখান থেকে ট্রলারে চ্যানেল পার হয়েনিঝুম দ্বিপের বন্দরটিলা । সেখান থেকে মোটরসাইকেলে নামারবাজার।

 👀  কোথায় থাকবেনঃ

নিঝুম দ্বীপে আপনাদের থাকার জন্য আদর্শ স্থান ‘নামার বাজার’। এখান থেকে আপনি খুব সহজেই মূল বনে ঢুকতে পারবেন। এছাড়া এই এলাকাটি দক্ষিণ প্রান্তে হওয়ায় আপনি সাগরের কাছাকাছি থাকতে পারবেন।

থাকার জন্য নামার বাজারের উত্তরে রয়েছে অবকাশ পর্যটনের ‘নিঝুম রির্সোট’ । এখানে ২ শয্যার কক্ষ ভাড়া ১০০০ টাকা, ৩শয্যার কক্ষ ১২০০ টাকা, ৪ শয্যার কক্ষ ১৮০০ টাকা, ৫ শয্যার ডরমিটরির ভাড়া১০০০ টাকা, ১২ শয্যার ডরমিটরি ২৪০০ টাকা। ঢাকা থেকে এ রিসোর্টের বুকিং দেয়াযায়। যোগাযোগঃ অবকাশ পর্যটন লিমিটেড, শামসুদ্দিন ম্যানশন, ১০ম তলা, ১৭ নিউইস্কাটন, ঢাকা। 📞 ফোন- ৮৩৫৮৪৮৫, ৯৩৪২৩৫১, ০১৫৫২৪২০৬০২

এছাড়া, ‘মসজিদ বোডিং’। বাজারের উত্তর প্রান্তে মসজিদ বোডিংএ থাকলে ভাড়া পড়বে মাত্র ৬০-৮০ টাকা জন প্রতি। এখানে রুমগুলো পরিপাটিএবং সুন্দর। রয়েছে গোসলের সুব্যবস্থা। আর মসজিদের ইমামের অনুমতি নিয়ে কম দামে সুস্বাদু ডাব খেতে পারবেন।

তাছাড়া বন বিভাগেরবাংলো, জেলা প্রশাসকের ডাকবাংলো, রেড-ক্রিসেন্ট ইউনিট ও সাইক্লোন সেন্টারেওথাকার ব্যবস্থা করা যায়। তবে এগুলোর জন্য পূর্বেই অনুমতি নিতে হয়।
 https://www.facebook.com/groups/bangladesh.travel/
Travel On Bangladesh
 

Lalon Shah (Pakshey) Bridge

Lalon Shah (Pakshey) Bridge

Lalon Shah (Pakshey) Bridge, the country’s second largest bridge, over the river Padma at Paksey-Bheramara point opened to traffic on 18 May 2004.

The 1.8-km bridge was built parallel to the Hardinge Railway Bridge at a cost of Tk 1,065 crore, including Tk 245 crore from the government. Japan Bank for International Cooperation contributed rest of the money, which is refundable in 30 years.

The bridge open a new horizon in the communication sector, connecting the country’s southwestern and northwestern regions and making trade easier with India and Nepal through Mongla Port.

Major Bridge Engineering Bureau was awarded the tender for constructing the bridge and ScanCement was exclusively used. A total 65 thousand metric tones of cement was used for the construction work.

LALON MELA...........

LALON MELA...........
Fokir Lalon Shah, a prominent philosopher poet in the cultural history of Bangladesh, established a distinctive tradition of philosophical thoughts through his thousands of songs and compositions. This legendary figure was born on 1774 CE and died on 1890, leaving controversial issues regarding his identity. He lived in the village Cheuria at Nodia of British-India era and Kushtia district of present Bangladesh. He is called as the Baul Shamrat (the Emperor of Bauls) for his distinctive views about life which denies the concrete affairs of the search of ecstasy of human soul. His own vision on human life has become the fundamental in developing Baul thoughts among the Bauls in this arena of the world.
Every year, on the first week of April, a fair is organized on the eve of his birth anniversary at Kushtia. The akhra (the place where Lalon lived) is decorated colorfully during this occasion and thousands of his devotees from different places of the country gather here to celebrate the day. Singers of Lalon Academy with ektara and other musical instrument, perform Lalon’s song all through the night for three days. Several crowds of Baul sit at different places of the Akhra. Among the Bauls, Fakir Humayun Shah is the prominent one. Lots of people join the crowd to enjoy the song of Lalon from Humayun’s and his devotees’ voice. On this day, the place becomes a gathering of Lalon’s devotees who remember him practicing his philosophical thoughts and performing his thousands of compositions.

KUAKATA-FANTASTIC BEACH Of - Rising & Setting Sun





FASCINATING KUAKATA
Cooing Kuakata, the lowland lass of Latachapli in the sea-facing south of Bangladesh is 70 km. from Patuakhali District Headquarters and 320 km. from the Capital City of Dhaka. Here on the Bay, nature left to nature is the up and coming tourist hamlet of Kuakata with cool and kind holidaying kiss.

Fascinating name Kua (well), Kata (dug) was perhaps given to it by the earliest Rakhyne settlers from Kingdom of Arakan who landmarked the place by digging a well. Fabled curative qualities of well-waters of Kuakata is still a matter of “willing suspension of disbelief”. Fascinating still more is the sight of the sun at dawn rising from the depths of the sea and sinking into the same at dusk which can be glanced from the same point.

TOURIST ATTRACTIONS

- The long wide beach in typical natural setting,
- Rising from the sea and setting into it of the crimson sun in a calm environment,
- Fairs and festivals during `Rush Purnima’ and `Maghi Purnima’,
- Unique customs and costumes of the `Rakhyne’ community,
- Ancient Buddhist temple & the largest Buddha statue of Bangladesh,
- Migratory birds in the winter season.

HOW TO GO:

Dhaka-Barisal by Air. Barisal to Kuakata via Patuakhali by Road.
By steamer and launch:
Dhaka-Patuakhali and Patuakhali to Kuakata by local Transport.
By Road:
Dhaka-Kuakata by Bangladesh Road Transport Corporation (BRTC) Tourist Bus.
Khulna-Kuakata by Bus.


WHERE TO STAY:
Parjatan Holiday Homes at Kuakta is an ideal tourist resort having necessary facilities for the tourists.

Deluxe Motel :
16 Rooms
Restaurant :
50 Seats
Room Tariff :
AC-Deluxe (Double) TK. 1800.00
AC-Twin Bed TK. 1500.00
Non-AC Twin Bed TK. 900.00
Economy Twin Bed TK. 600.00
Confc. Hall (50 pers.) TK. 6500.00
 Rates are all inclusive and subject to change without notice.
Accommodation Facilities

For rates and booking contact:

Central Reservation
Bangladesh Parjatan Corporation
Phone: +880-2-9893710
e-mail : info@bangladeshtourism.gov.bd

Bangladesh Facts

Fast Facts

Population:
144,233,000
Capital:
Dhaka; 12,560,000
Area:
147,570 square kilometers (56,977 square miles)
Language:
Bangla (Bengali), English
Religion:
Muslim, Hindu
Currency:
Taka
Life Expectancy:
59
GDP per Capita:
U.S. $1,800
Literacy Percent:
43
Flag: Bangladesh
Map: Bangladesh
Bangladesh, meaning "Bengal nation," is a low-lying country formed by the alluvial plain of the Ganges-Brahmaputra river system—the largest delta in the world. The rivers' annual floods bring silt to renew farmland fertility, often creating new islands in the delta that are quickly claimed as farmland. Much of the land is barely above sea level, with the exception of hills east and south of Chittagong. The monsoon winds come in summer (June to September) and bring heavy rainfall and cyclones. Bangladesh is one of the poorest countries on Earth, and most people are subsistence farmers.
Supported by India, East Pakistan became Bangladesh in 1971 after a war of independence against Pakistan. Bangladesh has the third largest Muslim population in the world after Indonesia and Pakistan. With more than 1,000 people per square kilometer (2,600 per square mile), the country is one of the most crowded on Earth. Poverty is widespread, and almost half of all Bangladeshis live on less than $1 a day.
Rich soils yield three rice harvests a year, but major cyclones cause storm surges that smash into the delta, sweeping people, livestock, and crops from the lowlands. In 1970 a cyclone killed more than 300,000 people along the coast, and in 2007 Cyclone Sidr caused thousands of deaths along with significant damage to the country's infrastructure.
Monsoon rains also cause frequent flooding of Bangladesh's lowlands. On average, about one-third of the country floods during the rainy season. Earthquakes, droughts, and landslides also occur.
Deforestation in upper watersheds of the Ganges and Brahmaputra Rivers worsens flooding downstream. The government protects the Sundarbans mangrove forest—one of the largest in the world and home to threatened species like the Bengal tiger.
ECONOMY
  • Industry: Cotton textiles, jute, garments, tea processing
  • Agriculture: Rice, jute, tea, wheat; beef
  • Exports: Garments, jute and jute goods, leather, frozen fish and seafood
—Text From National Geographic Atlas of the World, Eighth Edition

বান্দরবান-নীলগিরি-থানচি-তিন্দু-রাজা পাথর-রেমাক্রি-থানচি-রিঝুক ঝরনা-রুমাবাজার-বগা লেক-চিংড়ি ঝরনা-দার্জিলিংপাড়া-কেওক্রাড়ং-পাসিংপাড়া-জাদিপাইপাড়া-জাদিপাই ঝরনা-রুমা-কাইক্ষ্যংঝিরি-নীলাচল-মেঘলা-স্বর্ণমন্দির-

  • মেঘ-কুয়াশার তিন্দু মেঘ-কুয়াশার তিন্দু
    ছবি: লেখক
  • জাদিপাই ঝরনা জাদিপাই ঝরনা
  • বগা লেকে দুরন্ত ঝাঁপ বগা লেকে দুরন্ত ঝাঁপ
  • জাদিপাইপাড়া
    জাদিপাইপাড়া
1 2 3 4 5
আমরা সবাই জানি যে পানির কোনো রং নেই। পানি যখন যেখানে থাকে, সেখানকার রং ধারণ করে। কিন্তু এই পানিই মানুষের মনে হরেক রকম রঙের বিকিরণ ছড়িয়ে দেয়। পুকুরের পানি দেখলে সবাই যেমন ক্লান্তি ভুলে ডুব দিতে ছুটে যায়, সাগরের পানি যেমন কৈশোরের দুরন্তপনা ছড়িয়ে দেয় সবার মাঝে, বৃষ্টির পানিতে একবার ভিজতে না পারলে বছরটাই যেমন অর্থহীন মনে হয়, ঠিক তেমনি হিমশীতল ঝরনার পানিতে শরীরখানা একবার ভেজানোর জন্যও মরুভূমি হয়ে থাকে বুকের উষ্ণ জমিনটুকু। আজ ঠিক তেমনি এক ঝরনার কথা শোনাব সবাইকে, যে ঝরনার পাশ দিয়ে এসে থমকে দাঁড়ায় দিনের বাতাস, যে ঝরনায় প্রবেশের জন্য আকাশসমান গাছের কাছে অনুমতি চেয়ে বেড়ায় ভোরের রোদ্দুর, যে ঝরনায় এখনো কাচের মতো স্বচ্ছ টলটলে পানি আয়না হয়ে অপেক্ষা করে নতুন কোনো বিস্ময়ে বিহ্বল চোখের জন্য, যে ঝরনা এখনো শহুরে মানুষের চোখে অদেখা এক জাদুকরি ঝরনা। নিজেকে আর সবার কাছ থেকে আড়াল করে বান্দরবানের গহিন অরণ্যে বয়ে চলা এ ঝরনাটির নাম ‘জাদিপাই ঝরনা’।
যাব কি যাব না—এমন দোলাচলের মধ্যেই আমাদের এবারের বান্দরবান যাত্রা। যাঁরা অন্তত একবার হলেও বান্দরবান গিয়েছিলেন, তাঁরা সবাই আমাকে নিরুৎসাহিত করেছেন এবারের ট্যুরের জন্য। কারণ, তাঁদের ধারণা, আমরা এবারের ট্যুর শেষ করতে পারব না। আমাদের রোডম্যাপ ছিল ঢাকা-বান্দরবান-নীলগিরি-থানচি-তিন্দু-রাজা পাথর-রেমাক্রি-থানচি-রিঝুক ঝরনা-রুমাবাজার-বগা লেক-চিংড়ি ঝরনা-দার্জিলিংপাড়া-কেওক্রাড়ং-পাসিংপাড়া-জাদিপাইপাড়া-জাদিপাই ঝরনা-রুমা-কাইক্ষ্যংঝিরি-নীলাচল-মেঘলা-স্বর্ণমন্দির-বান্দরবান-ঢাকা, সময় চার দিন। বোঝেন অবস্থা!
আমি বান্দরবান গেছি নয়বার, অসম্ভবকে সম্ভব করার কিছুটা পরিকল্পনা নিয়ে। তাই ১৩ জন সঙ্গীকে নিয়েই বেরিয়ে পড়েছিলাম গত ২২ নভেম্বর। প্রথম গন্তব্য মেঘ-কুয়াশার দেশ ‘তিন্দু’।
তিন্দু সম্পর্কে একটা বিশাল বই লিখলেও এর সৌন্দর্যের ছিটেফোঁটাও তুলে ধরা সম্ভব নয়। শুধু এতটুকু বলি, আকাশ-কুয়াশা-মেঘ-নদী-পাথর-পাহাড়-ঝরনা-বন-নীল-সবুজ পানি, পাহাড়িদের জীবন আর রহস্য-রোমাঞ্চ-ভয় সব যদি একবারে পেতে চান, তাহলে জীবনে একবার হলেও ঘুরে আসুন তিন্দু। সকালে ঘরের ভেতরে ফুঁ দিয়ে মেঘ সরিয়ে যখন দরজা খুঁজে বের করতে হয়, তখন নিজের ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিতে হয় এ দেশটাতে জন্মানোর জন্য। বান্দরবান কন্যা তিন্দুকে ফেলে সাঙ্গু নদীর প্রকৃতিকে দুচোখে গিলতে গিলতে আমাদের চলে আসতে হলো রুমা বাজার। কারণ, জাদিপাই ঝরনায় যেতে হলে এখান দিয়েই যেতে হবে। পার হতে হবে প্রকৃতির বিস্ময় বগা লেক এবং কেওক্রাডংকে। এ দুটির মাঝে পড়ে চিংড়ি ঝরনা আর সবচেয়ে গোছানো পাহাড়িপাড়া হিসেবে পরিচিত দার্জিলিংপাড়া।
আমাদের মধ্যে সবচেয়ে মজার মানুষ ছিলেন রকি ভাই, যা-ই দেখেন তা-ই তাঁর ভালো লাগে। তিন্দুতে তাঁবুর ভেতরে মেঘ দেখেই লাফালাফি করেন, পাহাড়ের মধ্যে বগা লেকে পানি দেখে বিস্ময়ে ভিরমি খেয়ে উল্টে পড়েন আবার কেওক্রাডংয়ে পায়ের নিচে মেঘের সাগর দেখে যেন তাঁর কয়েকবার হার্ট অ্যাটাকই হয়! জাদিপাই ঝরনার পানি দেখে সেই রকি ভাইয়ের বিস্ময় যেন নিহতই হয়ে যায়! পরে সেই বিস্ময়কে আর বয়ে নিয়ে আসা হয়নি।
তবে একজনকে আমাদের বয়ে নিয়ে আসতে হয়েছিল, কেওক্রাডং থেকে নামতে গিয়ে দার্জিলিংপাড়ার কাছে পিছলে পড়ে পা মচকে যায় রিতুর, সবাই মিলে বাঁশের মাচায় করে তাকে বয়ে নিয়ে আসা হয় বগা লেক পর্যন্ত, সেখান থেকে বান্দরবান।
গাইড প্রথমে আমাদের দেখে ভ্রু কুঁচকে তাকায়, এই পুঁচকি-পাঁচকি পোলাপাইন জাদিপাই যাবে! সঙ্গে দেখি দুজন মেয়েও আছে! অবশেষে তাকে এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের আশ্বাস দিলাম যে আমি এর আগেও ছয়বার কেওক্রাডং গিয়েছিলাম। অবশেষে সন্দেহের মেঘ সরে গেল তাদের চেহারা থেকে, তার জায়গায় কিছুক্ষণ পরেই আমাদের মাথার ওপর উঁকি দিল বগা লেকের সাদা সাদা তুলো তুলো মেঘ, যে মেঘ আমাকে আজীবন টানে। সেখানে এক রাত থেকে পরদিন সকালে বাংলাদেশের একসময়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কেওক্রাডং আরোহণ করলাম। সময় লাগল আড়াই ঘণ্টার মতো, পুরোটা পথই খুব আরামের, মাঝখানে দুটি শীতল পানির ঝরনা, একটির নাম চিংড়ি ঝরনা। বর্ষায় এই ঝরনার আশপাশে কেউ যেতে পারে না, প্রবল প্রতাপে ভাসিয়ে নেয় সামনে যা পায় তা-ই। মজার ব্যাপার হলো, এ ঝরনায় চিংড়ি মাছও পাওয়া যায়। কেওক্রাডংয়ে এখন রাতে থাকার জন্য হোটেল হয়েছে। সেখানে কাঁধের ব্যাগগুলো রেখে আমরা ১১ জন বেরিয়ে পড়লাম জাদিপাই ঝরনার উদ্দেশে। দুজন থেকে গেল রুমায়, তারা আর যাবে না। চঞ্চল খুব ভালো গান গায়, তার গান শুনতে শুনতে কেওক্রাডং থেকে নেমে গেলাম পাসিংপাড়ার দিকে। আমার দেখা সবচেয়ে খোলামেলা ও সুন্দর পাড়া হলো এই পাসিংপাড়া। এখানে এক জায়গায় দাঁড়িয়েই সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় দেখা যায়। লালমাটির এই পাড়া থেকে অনেক নিচে ছবির মতো দেখা যায় জাদিপাইপাড়া। পাড়ার ছেলেমেয়েদের খেলাধুলা দেখে ইচ্ছে করে সব ছেড়েছুড়ে শহুরে জীবন ফেলে ঝাঁপিয়ে পড়ি তাদের ভিড়ে। রোদ-বাতাস-বৃষ্টি-কুয়াশা সব শুধু তাদের জন্য, তাদের কোনো ব্যস্ততা নেই, অচেনা পথিকেরা হেঁটে গেলে খুব আগ্রহ নিয়ে অনেকক্ষণ চেয়ে থাকে কৌতূহলী চোখ নিয়ে, এরপর আবার লুটিয়ে পড়ে লালমাটির ধুলায়।
কেওক্রাডং থেকে শুধু নামছিই, একটানা নামতে নামতে ৪৫ মিনিট পর নিজেদের আবিষ্কার করলাম, প্রায় দুই হাজার ৫০০ ফুট নিচের সমতল মাটিতে! রাস্তা এতই খাড়া যে বারবার পিছলে যাচ্ছে পা, ব্রেক ফেল গাড়ির মতো নিয়ন্ত্রণহীনভাবে দৌড়ে যাচ্ছে একেকজন, পাশ দিয়ে সাঁই সাঁই করে চলে যাওয়ার সময় রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়ে থামাতে হচ্ছে ঝরনানুুসন্ধিৎসুদের। কপালে ঘাম মুছতে মুছতে গামছা ভিজিয়ে ফেলেছে জাকি ভাই, আর শরীফ ভাই কিছুক্ষণ পরপর স্ট্যাচু অব লিবার্টির মতো বুক চিতিয়ে ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছেন, পেছনে তাঁর অথই সাগর, মেঘের সাগর। ঠিক পাহাড়ের নিচেই একটা শীতল ঝিরি, সেখানে মুখ ডুবিয়ে অপু ভাই ঘোষণা দিলেন, এটার চেয়ে সুমিষ্ট পানি আর কোথাও নেই।
হাত-মুখ ধুয়ে গলা পর্যন্ত পানি টেনে আমরা পৌঁছালাম হিজল-গর্জনের বাগানে, আমাদের ভেতরে টেনেই হিসহিস শব্দে সব কোলাহল থামাতে যেন নির্দেশ দিল কাশফুলে সাজানো মাথা খারাপ করা সবুজের এই বন। এর বিশালতায় স্তম্ভিত হয়ে চুপচাপ এগিয়ে যেতে থাকলাম পায়ে চলা সরু পথ ধরে। হঠাৎ থমকে দাঁড়াল রুবাইয়্যাৎ—আওয়াজ, শব্দ, পানি কোলাহল! উলা উলা, বুলা বুলা, ইয়াপ ইয়াপ করে সামনের দিকে পড়িমরি করে দৌড়ে গেল বাকিরা। হ্যাঁ, এটা ঝরনারই আওয়াজ, যাকে দেখতে এত দূরে ছুটে আসা, এটা সেই জাদিপাই ঝরনা।
এই ঝরনার শেষের ৩০ মিনিট নামাটা বিপজ্জনক, খাড়া পাহাড় বেয়ে গাছ ধরে ধরে নামতে হয়। কোথাও মাটি ঝুরঝুরে, কোথাও মাটি পিচ্ছিল, আবার কোথাও মাটিই নেই—একদম গাছ ধরে ঝুলে পড়া! এমন করেই নামতে নামতে পানির ঝমঝম শব্দকে ছাপিয়ে সারাটা শরীর ছমছম করে ওঠে এই ঝরনার বিশালতা দেখে। আমার দেখা সবচেয়ে বিশাল ও প্রশস্ত ঝরনা এটি। মাপামাপি ছাড়াই বলছি, প্রায় ২৫০ ফুট ওপর থেকে একাধারে পড়া পানির তিনটি ধাপে তৈরি করেছে সাতটি ছোট ছোট রংধনু, একটানা ঝমঝম শব্দ নিমেষেই ভুলিয়ে দিয়েছে যাত্রাপথের সব ক্লান্তি, মুছে দিয়েছে আবার তিন হাজার ফুট পাহাড় বেয়ে ওঠার চিন্তা। ঝরনার নিচে জমে থাকা কাচের মতো স্বচ্ছ পানিতে চঞ্চল একেকবার লাফ দিচ্ছে আর চিৎকার করে বলছে, ‘ও মাই গড, আই অ্যাম সো হট!’
আমাদের গাইড আলমগীর ভাই, যে কি না ১০০ বারের বেশি এসেছে এখানে, সে-ও আর স্থির থাকতে পারল না, জামাকাপড় খুলে নিজেকে মেলে দিল ঝরনামুখের তোপের নিচে। নিরাপদ ঝরনা এটা, কারণ পানি এখানে তিনটি ধাপে পড়ে, ফলে সরাসরি মাথায় কিছু এসে পড়ার ভয় নেই। প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে আমাদের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে লম্বা লেজ নাড়তে নাড়তে চলে এসেছে শ খানেক বানর। এত বানর আমি এর আগে কোথাও দেখিনি। নিজেদের রাজত্ব যেন হাতছাড়া না হয়, সে জন্য কতক্ষণ দাঁত কিড়মিড় করে আমাদের শাসন করল তাদের দলপতি, দুই-তিনজন হাত মুঠো করে কিলও দেখাল। লিপি আপু প্রাণিবিদ্যার ছাত্রী। তিনি ঘোষণা দিলেন অবস্থা সুবিধার নয়। তাঁর কথা শেষ হওয়ার আগেই দেখি রিতু ভেজা চুলে দৌড় দিল। আরেকটু ভালো করে খেয়াল করে দেখি, মিরান ভাই ও বাপ্পি ভাই আগেই ভেজা শরীর নিয়ে পথের প্রান্তে দৌড়ানোর জন্য রেডি, শুধু কমান্ডারের নির্দেশের অপেক্ষা। কালবিলম্ব না করে হাত তুলে নির্দেশ দিলাম, ‘মুভ।’ ঘোষণা শেষ হতেই দেখি আমি ছাড়া আর কেউই দৃষ্টিসীমার মধ্যে নেই। পড়িমরি করে আমিও দৌড় দিলাম। পেছনে বানরদের রাজত্ব ফিরে পাওয়ার উল্লাসধ্বনি শোনা যাচ্ছে। গাছে ঝুলে উঠতে উঠতে আরেকবার পেছন ফিরে তাকালাম, বাতাসের দোলায় দুলতে থাকা গাছের ফাঁকা দিয়ে হাসছে জাদুপাই ঝরনার সাদা পানি। বিশাল সবুজ বন নিজের কোলের মধ্যে পরম মমতায় আড়াল করে রেখেছে প্রকৃতির এ জাদুকে।

কীভাবে যাবেন
জাদিপাই ঝরনায় যেতে হলে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে বান্দরবান। ঢাকা থেকে বান্দরবানে চারটি বাস যায়। ইউনিক, শ্যামলী, এস আলম ও ডলফিন। প্রতিটি সিটের জন্য ভাড়া পড়বে ৪৩০ টাকা। বান্দরবান নেমে যেতে হবে কাইক্ষ্যংঝিরি। স্থানীয় বাসে বা চান্দের গাড়িতে করে সেখানে হেলতে-দুলতে দুই ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যাবেন। বাসভাড়া ৮০ টাকা, আর চান্দের গাড়ি রিজার্ভ গেলে পড়বে তিন হাজার ৫০০ থেকে চার হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। কাইক্ষ্যংঝিরি থেকে রুমাবাজার পর্যন্ত নৌকাভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা, আর রিজার্ভ গেলে এক হাজার টাকা। রুমা থেকে যেতে হবে বগা লেক পর্যন্ত। এখানে চান্দের গাড়িভাড়া দুই হাজার টাকার মতো। জাদিপাই যেতে হলে আপনাকে এই রুট ধরেই যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে গাইড ভাড়া বাবদ খরচ পড়বে দুই হাজার ৫০০ টাকা। বগা লেকে গাড়ি থেকে নেমে পাহাড় ডিঙিয়ে উঠতে পারেন ‘সিয়াম দিদি’র হোস্টেলে, খুব ভালো আপ্যায়ন পাবেন। সেখান থেকে শুধুই হাঁটাপথ। চিংড়ি ঝরনা, দার্জিলিংপাড়া, কেওক্রাডং, পাসিংপাড়া আর জাদিপাইপাড়া পার হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে যাবেন জাদুকরি ঝরনা জাদিপাইতে। এই ঝরনায় যাওয়ার আরেকটি রাস্তা আছে, সেটি থানচি দিয়ে। সে গল্প আরেক দিন বলব।